ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠায় বাংলাদেশ দলকে আজ ৫০ লাখ টাকা বোনাস দিয়েছে বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন)। কিন্তু এরমধ্যেই আবারও নতুন করে আলোচনায় বাফুফের দুর্নীতি ইস্যু।

 

সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা ‍রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রোববার (৯ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ আদেশের প্রেক্ষিতে তদন্ত কাজ শুরু করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ বলেন, ‘বাফুফের দুর্নীতি তদন্তের জন্য এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া)- কে প্রধান করে গঠিত ৫ সদস্যের এই কমিটি আগামীকাল (সোমবার) দুপুর আড়াইটায় বাফুফে ভবনে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করবে। ’ 

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।

একইসঙ্গে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ফিফা) দেওয়া অর্থের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তবে বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চলবে। আর এই অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

গত ১৪ এপ্রিল আর্থিক অনিয়ম এবং কাগজ জালিয়াতির দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা দুই বছরের জন্য সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। সোহাগের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, ফিফার দেওয়া অর্থ বাফুফের খরচ দেখাতে তিনি ভুল ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন। ফিফা শুনানি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই এ শাস্তি দিয়েছে বলে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

সোহাগের বিরুদ্ধে সাধারণ আর্টিকেল ১৫ (দায়িত্বে অবহেলা), ১৫ (সততা) ও ২৪ (মিথ্যা তথ্য দেওয়া) ভঙ্গের অভিযোগ দেখিয়েছে তারা। এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে আবু নাঈম সোহাগকেও। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বাফুফে ও এএফসিতে। এরপর ১৭ এপ্রিল ইমরান হোসেন তুষারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে সোহাগকে আজীবন নিষিদ্ধ করে বাফুফে। ওইদিন জরুরি সভা শেষে এই তথ্য জানায় দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এরপর গত ৩ মে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দাবি জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেন ব্যারিস্টার সুমন। পরে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তার রিটের বিবাদীরা হলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩ 
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।