ঢাকা: দাবি ছিল কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচ জিতলে তাকে রানীর চুমু দিতে হবে। চুমুটা দিতে হবে আবার গালে! কারণ ম্যাচ জেতাতে পারলে শেষ ষোলোর আশা জিইয়ে থাকবে ইংল্যান্ডের।
কিন্তু সে আশা পূর্ণ হলো না চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালির ‘ব্যাডবয়’ বালোতেল্লির। উল্টো মাথা গরম করে হজম করেছেন হলুদ কার্ড।
ইংল্যান্ড-ইতালির ম্যাচে আজ্জুরিদের হয়ে গোল করেছিলেন বালোতেল্লি। ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল ইংল্যান্ড। এরপর কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বালোতেল্লি তার টুইটারে লেখেন, যদি আমরা কোস্টারিকাকে হারাতে পারি, তবে আমি একটি চুমু চাইবো। অবশ্যই সেটি আমার গালে। আর সেই চুমুটি চাই ইংল্যান্ডের রানীর।
জিতে চুমু তো পাওয়া হলোই না, উল্টো ‘মৃত্যুকূপ’ গ্রুপ ডি থেকে ঠিকই উৎরে গেল ক্রমাগত মৃত্যুর শঙ্কায় থাকা কোস্টারিকা। আর সাবেক তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি, উরুগুয়ে ধুঁকছে মৃত্যুর শঙ্কায়। ইংল্যান্ডের কবর তো রচিত হয়েছে আগেই।
এই গ্রুপের সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। ইতালি প্রথম ম্যাচে খেলেছিল দুর্দান্ত। রেকর্ড গড়েছিল বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সঠিক পাস দেওয়ার। যা ছিল ৯৩.২ শতাংশ। কিন্তু কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে যেন দেখা গেল ঠিক বিপরীত চিত্র।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভুল পাসের রেকর্ড হয়েছে কিনা জানা নেই, তবে অসংখ্য ভুল পাস দিয়েছে তারা। খেলায় ছিল না কোনো গতি। একটুতেই যেন উঠছিলেন হাঁপিয়ে। মাঠে খেলোয়াড়দের মতিগতি দেখে একের পর এক বদলি খেলোয়াড় নামিয়েছেন কোচ প্রানদেল্লি। তাতেও কাজ হয়নি।
একটি ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বালোতেল্লি। বোধহয় না জেতার শঙ্কা, নিজের রানীর চুমু নিয়ে টুইট করা প্রভৃতি কারণে মাঠে অসংযত আচরণই করে ফেললেন তিনি। সঙ্গে হজম করতে হলো হলুদ কার্ড।
ইতালির কোচ, খেলোয়াড়দের প্রথম থেকেই শঙ্কা ছিল গরম নিয়ে। তারা গরম আবহাওয়াকেই প্রথম প্রতিপক্ষ মনে করছিল। মাঠে সেটা টের পাওয়া গেল ভালোই। আর কোস্টারিকা এ আবহাওয়ায় অভ্যস্ত হওয়ায় তাদের গতি ছিল দেখার মতো। ভালো খেলেই জিতেছে কোস্টারিকা। ভালো খেলেছিল গত ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষেও। সামনে কি তবে আর চমক দেখাবে কোস্টারিকা? সেটা বোঝা যাবে সময়েই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪