ঢাকা: চলছে বিশ্বকাপের ২০তম আসর। ১২ জুন শুরু হওয়া ৩২ দিনের এ জমজমাট লড়াই শেষ হবে ১৩ জুলাই।
এ পর্যায়ে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত লাল কার্ড হজম করেছেন কতো জন এবং কোন দলের খেলোয়াড় সবচেয়ে বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৩০ সাল থেকে ২০১৪ সালের চলতি আসরের প্রথম দশ দিন পর্যন্ত মোট ১৬৪ জন ফুটবলার লাল কার্ড পেয়েছেন।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক ১১ লাল কার্ড পেয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা।
বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে ১৯৩৮ সালে যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে প্রথম লাল কার্ড পান ব্রাজিলের জেসে প্রোসিফিয়ো। ম্যাচে আরও একটি লাল কার্ড পান আরেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মাচাদো।
এরপর ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে একই ম্যাচে আরও দু’টি লাল কার্ড পান ব্রাজিলের দুই ফুটবলার।
১৯৬২ সালের চিলি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে লাল কার্ড পান গারিনচা। ১৯৭৪ সালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে লাল কার্ড পান লুইস পারেইরা।
১৯৯০ সালে ইতালি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে লাল কার্ড পান রিকার্দো গোমেস।
১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথমার্ধের শেষ মুর্হূতে লাল কার্ড পান লিওনার্দে। এরপরও ম্যাচটিতে ১-০ গোলে জয় পায় ব্রাজিল।
পরবর্তী বিশ্বকাপ বাদ দিয়ে ২০০২ সালে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করে এশিয়ার দুই দেশ কোরিয়া ও জাপান। ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে রোনালদিনহো লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়লেও ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে ব্রাজিল।
এরপর ২০১০ সালে আইভরিকোস্টের সঙ্গে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ৮৫ ও ৮৮ মিনিটে হলুদ কার্ড পরবর্তী লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কাকাকে। ম্যাচটি ৩-১ গোলে জয় পায় ব্রাজিল।
ওই আসরেরই কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল। ম্যাচে ৭৩ মিনিটে লাল কার্ড হজম করে মাঠ ছাড়েন ফিলিপে মেলো।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১০ লাল কার্ড নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
আর নয়টি লাল কার্ড খেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরেক সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।
বিশ্বকাপে ন্যূনতম তিন বার অংশগ্রহণ করা দেশগুলোকে নিয়ে করা এ হিসেবে মাত্র ১০ ম্যাচ খেলে ৪ লাল কার্ড হজম করেছেন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা।
আর বিশ্বকাপে ৫৬ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি লালকার্ড পেয়ে তালিকায় সবার নিচে রয়েছে স্পেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪