ঢাকা: পরিবারের সবাই ‘ডাই হার্ড’ ফুটবলফ্যান। চলছে ফুটবল বিশ্বকাপের ২০তম আসর।
যে কথা সেই কাজ। আপা আর মামী-মামার উৎসাহে নানা রঙের কাপড় কিনে আনলো তানজিল, আবির, রাইন, রাফিন। এরা সবাই ছাত্র। তাই চাঁদা তোলা হলো পরিবারে যারা চাকরি করেন তাদের কাছ থেকে।
আপা সুরাইয়া চাকরি করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। খাটুনি কম নয়। তবু ছোট ভাইদের আবদার আর নিজের আগ্রহে রাতে বসে পড়েন সেলাইমেশিন নিয়ে। রাত জেগে খেলা দেখা, সেলাই চলে একসঙ্গে। অন্যরা সাহায্য করে। কেউ কেউ এই সুযোগে নিজে শিখে গেল মেশিন চালানো। এভাবে টানা চারদিন দিনরাত খেটে তৈরি হলো ৩২ দেশের পতাকা।
কিন্তু সব দেশের পতাকা তৈরি কিন্তু সহজ নয়। পদ্ধতি বের করলো তানজিল। ইন্টারনেট থেকে পতাকা বের করে কাপড়ে ছবি এঁকে কাপড় কেটে প্রস্তুত করলো ডিজাইন। সেলাই করলেন আপা। সাহায্য করলো তাদের বোন রিক্তাও। কিন্তু ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও মামী রানী অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুধু অনুপ্রেরণায় দিতে পারলেন। তাও বা কম কি।
এ ঘটনা রাজধানীর কুড়িল জোয়ার সাহারা বাজার এলাকার একটি বাসার। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্বকাপকে স্বাগত জানাতেই তাদের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের কোনো দেশের পরিবার নিজেরা এভাবে ৩২ দেশের পতাকা বানিয়ে বাড়ির ছাদের উড়িয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে এরমধ্যে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা ওড়াতেও কিন্তু ভুল করেন নি তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪