ঢাকা: তারা বিশ্বকাপ ফুটবল ভালোবাসায় জড়ান তিন যুগ আগে স্পেনে। পান্নালাল চ্যাটার্জির বয়স এখন ৮১, স্ত্রী চৈতালির ৭২।
ভারতের কলকাতার অধিবাসী পান্নালাল কলকাতা ছাড়ার আগে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, হতে পারে এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ দেখা। কিন্তু আমি ব্রাজিলে বিশ্বকাপ দেখতে যেতে পেরে খুবই খুশি।
নবমবার বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার আগে তিনি আরও বলেন, আমার কাছে সব সময় স্বপ্ন ছিল ব্রাজিলে বিশ্বকাপ দেখা।
১৯৮২ সালে তারা লন্ডনে যান। তখন এক বন্ধু টিকিট দেন স্পেন বিশ্বকাপের। সেসময় ম্যারাডোনা ছিল আলোচিত তরুণ খেলোয়াড়। সেই খেলা দেখার পর পান্নালাল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন প্রতিটি বিশ্বকাপ দেখার। ৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ও এই দম্পতি দেখেন মাঠে বসে।
পান্নালাল ব্রাজিলের সমর্থক হলেও চৈতালির হিরো ম্যারাডোনা। তিনি সমর্থক আর্জেন্টিনার।
এই দম্পতির কোনো সন্তান নেই। পান্নালাল মাসে পেনশন পান সাড়ে সাত হাজার রুপি। জাহাজের ক্লার্কের চাকরিকালীন তিনি অনেক হিসাব করে খরচ করতেন শুধু খেলা দেখার জন্য।
তারা বলেন, সবশেষ চার বছরে আমরা আমাদের প্রিয় মাছ খাইনি। এমনকি কখনো-সখনো আধপেটা খেয়ে থেকেছি শুধু খেলা দেখার টাকা যোগাড় করতে।
চৈতালি অবসরে শাড়িতে নকশার কাজ করে অর্থ রোজগার করেছেন। এবার ব্রাজিলে খেলা দেখতে যাওয়ার আগে খরচ কমাতে শুকনো খাবার ও চা সঙ্গে নিয়ে গেছেন।
এই বয়সেও খেলার প্রতি তাদের এই আগ্রহ, নিষ্ঠায় অভিভূত হয়ে ফিফা ব্রাজিলে তাদের ফ্রি থাকার ব্যবস্থা করেছে। এই খবর পেয়ে আবার একটি লোকাল টিভি চ্যানেল তাদের টিকিট কিনতেও সাহায্য করেছে।
শুধু তাই নয়, এই দম্পতি সবশেষ ৮ আসরের সবক’টির ফাইনাল ম্যাচ দেখেছেন। এই বয়সে খেলা দেখায় এমন অদম্য মনোভাব দেখিয়ে বিশ্বমিডিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪