বিশ্বকাপের ইতিহাসে বার্সা থেকে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় যাচ্ছেন। অন্তত ১৫ জন তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
বার্সার জার্সিতে প্রতিভাবান সার্জি রবার্তো, উদীয়মান ডেনিস সুয়ারেজ ও জেরার্ড ডেউলেফেউয়ের স্পেনের ২০১৮ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে বিবেচিত হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। একমাত্র ব্যতিক্রম হতে পারেন বিভিন্ন পজিশনে খেলতে সক্ষম পরীক্ষিত রবার্তো। তবে স্পেনের জনপ্রিয় ক্রীড়াদৈনিক ‘মাকা’ তাদের এই প্রতিবেদনে বার্সা থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ২৫ বছর বয়সী রবার্তোর নাম রাখেনি।
সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্লে-অফের প্রথম লেগে গ্রিসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপ নিশ্চিতের পথেই আছেন ইভান রাকিটিচ। রিয়াল তারকা লুকা মডরিচ ও মাতেও কোভাচিচও ক্রোয়েশিয়ান।
আগামী ১৫ নভেম্বর বাছাইপর্ব পুরোপুরি সমাপ্ত হবে। স্বাগতিক রাশিয়াসহ ২৬টি দেশ ইতোমধ্যেই ওয়ার্ল্ডকাপের টিকিট পেয়ে গেছে। বাকি আছে আর ৬টি আসন। চলমান প্লে-অফ পর্ব থেকে নির্ধারিত হবে বিশ্বকাপ ভাগ্য।
১৯৩০ সালে উরুগুয়ে বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত কাতালানদের চুক্তিতে থাকা ১১৫ জন খেলোয়াড় বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছেন। ২০১০ ওয়ার্ল্ডকাপে ১৪ জন প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল বার্সা। যার অর্ধেকই স্প্যানিয়ার্ধ। দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল স্পেন।
এখন থেকে আগামী জুনের মধ্যে যদি ইনজুরি অস্বাভাবিক আকার ধারণ না করে এই সংখ্যাটা (বার্সার খেলোয়াড়) রাশিয়া অতিক্রম করবে।
রিয়ালে আন্তর্জাতিক প্রতিভার পরিমান নিয়ে যে অবাক হওয়ার কিছু নেই এটাই তো স্বাভাবিক। আগামী বছরের রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্যালাকটিকোদের ১২ জন খেলোয়াদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত। এরা হলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সার্জিও রামোস, ইস্কো, মার্কো অ্যাসেনসিও, দানি কারভাহাল, নাচো ফার্নান্দেজ, মার্সেলো, ক্যাসেমিরো, টনি ক্রুস, রাফায়েল ভারান, কেইলর নাভাস ও আখরাফ হাকিমি। স্প্যানিশ জায়ান্টরা এ সংখ্যায় পৌঁছেছে ক্লাবের উদীয়মান ডিফেন্ডার হাকিমির মরক্কোর আফ্রিকা অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে পা রাখার মধ্য দিয়ে।
অপেক্ষায় আছেন বার্সা মিডফিল্ডার রাকিটিচের দুই ক্রোশিয়ান সতীর্থ মডরিচ ও কোভাচিচ। তাই কোনো অঘটন না ঘটলে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে রিয়ালকে তাদের ১৪ জন প্লেয়ার প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন।
রিয়ালের স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন রামোস, ইস্কো, অ্যাসেনসিও, কারভাহাল ও নাচো। কোনো প্রকার ইনজুরির শিকার না হলে তাদের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিতই বলা চলে। লস ব্লাঙ্কসদের হয়ে খেলা লুকাস ভাজকুয়েজ স্পেনের সবশেষ দু’টি স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন। তাই রাশিয়ায় তাকে কল্পনা করাটা খুবই কঠিন।
পর্তুগালের ২০১৬ ইউরো জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া রোনালদো বিশ্বকাপেও পর্তুগিজদের ভরসার প্রতীক হয়ে থাকবেন। অন্যদিকে, রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানের টিমে প্রথম পছন্দ মার্সেলো ও ক্যাসেমিরো ব্রাজিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানির ডাগআউট সামলানো জোয়াকিম লোর মাঝমাঠের পরিকল্পনায় অপরিহার্য টনি ক্রুস। ইনজুরিমুক্ত থাকতে পারলে দিদিয়ের দেশমসের ফ্রান্সের রক্ষণভাগের তালিকায় উপরের সারিতে থাকবেন রাফায়েল ভারান। সতীর্থের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ‘বিতর্কিত’ করিম বেনজেমা ইউরোর পর বিশ্বকাপেও উপেক্ষিত হতে পারেন! রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস কোস্টারিকার হয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। কারভাজালের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র টিমে অভিষিক্ত হাকিমি মরস্কো টিমে প্রতিষ্ঠিত সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম