শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার এক হোটেলে বাংলাদেশ ফুটবলের সামগ্রিক অবস্থা ও জেলা ফুটবল লীগ আয়োজন বিষয়ক জেলা এবং বিভাগের ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাফুফের বিরুদ্ধে ওঠা ১৭ কোটি টাকার দুর্নীতির দায় কাউন্সিলররা নেবে না।
সভায় জানানো হয়, বিডিডিএফএ’র উদ্যোগে গত বছর ৪৬টি জেলা তাদের ফুটবল লীগ আয়োজন করে। তরফদার রুহুল আমিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড প্রতিটি ডিএফএকে ৩ লাখ টাকা করে সহায়তা দেয়। এছাড়া বাফুফে প্রতিটি জেলাকে ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়। ১৬টি জেলা লীগ অর্থ সহায়তা পাওয়ার পরও লীগ আয়োজন করেনি। আর দুটি ক্লাবের ডিএফএতে সমস্যা থাকায় তারা লীগ শুরু করতে পারেনি।
বিডিডিএফএ চলতি বছর লীগ পরিচালনা করতে আবারও অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘যেসব জেলা লীগ আয়োজন করতে পারেনি, তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি এ বছর লীগ আয়োজন করতে। সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। ’
বাফুফের সহসভাপতি বাদল রায় এবং মহিউদ্দিন আহমেদ মহির বাফুফের তিন বছরের আর্থিক বিবরণীতে অসংগতি পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা বাফুফের বিরুদ্ধে নই। তারা আমাদের অভিভাবক সংস্থা। আমরা চাই তাদের আর্থিক বিবরণী এজিএমে অনুমোদন করতে। কিন্তু তারা তো এখনো কাউন্সিলরদের কাছে আর্থিক বিবরণী পাঠায়নি। সেটা পাঠালে আমরা নিজস্ব অডিটর দিয়ে সেগুলো অডিট করিয়ে দেখব বাফুফের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সঠিক কি-না। ’
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কলুষমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগকে স্বাগত জানান তরফদার রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানে সব জেলার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে এক লাখ টাকা করে এবং কিছু ফুটবল দেওয়া হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু, আবদুল গাফফার, ইমতিয়াজ সুলতান জনি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এসি/টিসি