রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে বিপদের মুখে ইউক্রেন। দেশটির ফুটবল ক্লাবগুলোতেও পড়েছে এর প্রভাব।
সোমবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, ফিফার কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) আপিল করেছে শাখতার। ক্লাবটির প্রধান নির্বাহী সের্গেই পালকিন বলেন, ফিফার ‘অন্যায্য আদেশ’ এর কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের।
এর আগে গত জুন মাসে ফিফা আদেশ দেয়, রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের ক্লাবগুলির বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচরা তাদের চুক্তি স্থগিত করতে পারে। এই আদেশের কারেণে আয় হারাচ্ছে শাখতার দাবি করে পালকিন বলেন, ‘এই আদেশের অর্থ হলো, আমরা যে চুক্তিগুলোর ইতি টানার আশা করেছিলাম, সেখান থেকে আমরা উল্লেখযোগ্য আয় হারাতে থাকব। একই সঙ্গে আমরা তুলে ধরতে চাই, ইউক্রেইনের ক্লাবগুলো যুদ্ধের কারণে এমনিতেই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে, সেখানে ফিফা ক্লাবগুলোর প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখায়নি। ’
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ক্লাবগুলো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা এই ক্লাবগুলোর জন্য ফিফা যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দাবি করে শাখতারে প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ‘ফিফা ক্লাবগুলোকে রক্ষা করতে চায়নি এবং কোনো পর্যায়েই সমাধান বের করার জন্য আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেনি। যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেইনের ফুটবল ক্লাবগুলো যে বিপজ্জনক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে, আপাতদৃষ্টিতে তারা (ফিফা) সেটা উপেক্ষা করে গেছে। ’
ফিফার দেওয়া আদেশের পর শাখতার থেকে চার বিদেশি খেলোয়াড় ইতোমধ্যে ক্লাব ছেড়েছে। যে কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন ক্লাবটির নির্বাহী পালকিন। যার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৫ কোটি ইউরো।
শাখতারের স্কোয়াডে ১৪ জন বিদেশি খেলোয়াড় ছিল। আর্থিক ক্ষতি পোষানোর জন্য সেখান থেকে খেলোয়াড় বিক্রি করার ইচ্ছে ছিল ক্লাবটির। কিন্তু ফিফার দেওয়া আদেশের কারণে অনেকেই চুক্তি স্থগিত করায় বিপদে পড়েছে ক্লাবটি। মূলত এই কারণেই ফিফার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করছে ১৩ বারের ইউক্রেইন লিগের চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
আরইউ