ডাক্তারের সঙ্গে দুর্বল করমর্দনই বলে দেবে আপনার হৃদযন্ত্রটি কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে। রক্তচাপ পরীক্ষা না করেই বুঝে নেওয়া যায় হৃদযন্ত্রের হাল-হকিকত।
এভাবে বড় ধরনের অসুখ কিংবা অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা পর্যন্ত বুঝে নেওয়া সম্ভব।
যুক্তরাজ্যের ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে এ নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করমর্দনে আপনি যত শক্তি হারাবেন আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি তত বাড়ছে বলে ধরে নেওয়া যায়।
গবেষণা রিপোর্টের প্রধান লেখক ড. ড্যারিল লিওং হাতের কব্জির শক্তি কোনও ব্যক্তির হৃদরোগের ঝুঁকি পরীক্ষার জন্য সবচেয়ে সহজ ও বিনামূল্যের পরীক্ষা। ওন্টারিও হ্যামিলটনে পপুলেশন হেলথ রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এই চিকিৎসা গবেষক বলেছেন, তবে কব্জি ও হাতের তালুর পেশিতে শক্তি বাড়ানোর মধ্য দিয়ে এই ঝুঁকি কমে আসে কি না, তা জানাতে আরও পরীক্ষা-নীরিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
‘হাতের পেশির শক্তি তালুর শক্তি দিয়েই পরিমাপ করা যায়। আর এই শক্তিহীনতা অকালমৃত্যু, অক্ষমতা, অসুস্থতার সঙ্গে সংযুক্ত। যখন শরীরে অসুস্থতার আর কোনও চিহ্ন বা প্রকাশই দেখা যাবে না, তখন হাতের তালুর শক্তি পরীক্ষা থেকে বিষয়গুলো বুঝে নেওয়া যাবে,’ বলেন তিনি।
বিশ্বের ১৭টি দেশের ৩৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা এই সত্য নিশ্চিত করেছেন। টানা চার বছর কাজ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। মুঠোয় নেওয়া যায় এমন বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে হাতের তালুর ও কব্জির শক্তি পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা।
এতে দেখা গেছে কব্জির শক্তি প্রতি ৫ কেজি করে কমলে হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ১৭ শতাংশ বেড়ে যায়। প্রত্যেকের বয়স, শারিরিক কাজের মাত্রা, তামাক কিংবা মদ খাওয়ার মাত্রা এগুলো ধর্তব্যে নিয়েই এই গবেষণা চালানো হয়েছে।
দেখা গেছে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার পর, কিংবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে যাদের হাতের শক্তি কমে আসে তাদের মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ সময় ০৯১৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
এমএমকে