ঢাকা: সনাতনী চিকিৎসার ওপর মানুষের বিশ্বাস অক্ষুন্ন রাখতে অপচিকিৎসকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেছেন, আধুনিক চিকিৎসায় যেমন ভূয়া চিকিৎসক ও ক্লিনিক রয়েছে, তেমনি হোমিওপ্যাথি, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে প্রতারিত করা হয়।
রোববার (০৫ জুলাই) সচিবালয়ের বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এবং বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সরকারের এই উদ্যোগকে সহায়তা দেওয়ার জন্য বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময়কালে রেলমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়, সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এবং ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার এই বিকল্প পদ্ধতিগুলোর বিকাশে যথেষ্ট আন্তরিক। বর্তমান সরকার দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ২৯৮ জন হোমিও চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। নতুন নতুন হোমিওপ্যাথিক কলেজ নির্মাণ করেছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভারতে নতুন প্রযুক্তির সহায়তার বিকল্প চিকিৎসার উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রয়োজনে ভারতের সহায়তা নিয়ে বিকল্প চিকিৎসার উন্নয়নে সরকার আরও কাজ করে যাবে। ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে বিকল্প চিকিৎসার উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এর বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস