রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের কিডনি বিভাগে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা দিতে সক্ষম ৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৮০ লাখ টাকা।
আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে হাসপাতালের এ নতুন ডায়ালাইসিস সেন্টারটির কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৬টির মধ্যে আমেরিকার তৈরি ৩টি ডায়ালাইসিস মেশিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিনেছে এবং জাপানের তৈরি বাকি ৩টি মেশিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনের মাধ্যমে আনা হয়েছে।
নতুন মেশিনগুলো সংযোজনের ফলে রাজশাহী অঞ্চলের কিডনি রোগীদের আরও উন্নতমানের সেবা প্রদান করা সম্ভব বলে মনে করছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রামেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বাংলানিউজকে বলেন, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডায়ালাইসিস করে এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে কিডনি রোগীদের দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। আর এ কারণে রামেকে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম ৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন আনা হয়েছে।
হাসপাতালে আগে থেকে ৭টি ডায়ালাইসিস মেশিন ছিলো। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে সেগুলোর কার্যক্ষমতা কমে গেছে। এজন্য আরও ৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে কিডনি ইউনিটে ১৩টি ডায়ালাইসিস মেশিন আছে। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, তিনি জানান।
এদিকে রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন ৪ বছর ধরে অকেজো। আগামী ৩১ জুলাই নতুন সিটি স্ক্যান মেশিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। এর আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি চলে এসেছে এবং আগামী আগষ্ট মাসে এর কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। মেশিনটি স্থাপন করতে দ্রুত কাজ এগিয়ে চলেছে। জেনারেটর ও পাওয়ার সাব স্টেশনের কাজও প্রায় শেষ।
এ মেশিনটি উন্নতমানের, যা ৬৪টি এঙ্গেল থেকে ছবি তুলতে সক্ষম। আগের মেশিনটি থেকে মাত্র একটি এঙ্গেল থেকে ছবি তোলা যেত। স্ক্যান মেশিনটি ইউএস’র ফিলিপস কোম্পানির। এর ব্যয় আনুমানিক ১২ কোটি টাকা, জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৫
এসএস/আরএম