ঢাকা: লেবুর খোসা ছাড়িয়ে অবহেলা করে ছুড়ে ফেলবেন না। কারণ লেবুর খোসায় রয়েছে লেবুর রসের চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ও পুষ্টি।
শুধু তাই নয়, এতে আরও রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফলেট ও বিটা ক্যারোটিন।
তাছাড়া লেবুর খোসা হাড়ের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী এক উপাদান। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি থাকায় এটি অস্টিওপোরোসিস, প্রদাহজনক পলিআর্থ্রাইটিস ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
উপকারিতা
উচ্চরক্তচাপ কমায়, ক্যানসার প্রতিরোধক, হাড় মজবুত করে, দাঁতের ক্যাভিটি প্রতিরোধ করে ও ওজন হ্রাসে সহায়ক। কৃমিনাশক এ উপাদান ফাঙ্গাল এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। যাদের সিস্ট বা টিউমার রয়েছে তারা লেবুর খোসা খেলে উপকার পাবেন। লেবুর খোসা হৃদবান্ধব একটি উপাদান। পলিফেনল ফ্লেভোনয়েড সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোলেস্টেরল কমায় ও হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
ব্যবহার
লেবুর খোসা খাওয়া ছাড়াও দেহের বাহ্যিক অংশে ব্যবহার করা যায়। বাটা খোসা ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। গোসলের জলে লেবুর খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এটি বডি ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও রেফ্রিজারেটর দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে ও পোকামাকড় দূর করতে এটি খুব ভালো উপকরণ। ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও থালা-বাসন পরিষ্কারে লেবুর খোসার ব্যবহার রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এসএমএন/এএ