সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২০ ঘণ্টায় ফেনীতে ১৪৬ প্রবাসীসহ ৫২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেখভালের জন্য। সিভিল পোশাকে পুলিশও কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিন মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশনা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৩০ শয্যা, ফেনী ট্রমা সেন্টারের ৩০ শয্যা, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যাসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যা করে মোট ১০৫ শয্যার আইসোলেশন কর্নার করা হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ফেনীতে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন পালনে বাধ্য করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ানো ঠেকাতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তা প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ফেনীতে চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ও করোনা শনাক্তের কিট ব্যবস্থা করা যায়নি।
ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিন না মানায় ফুলগাজীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক প্রবাসীকে ১০ হাজার ও দাগনভূঞাঁতে অপর প্রবাসীকে ৫ টাকা জরিমানা করেছে বলে জানিয়েছেন ডিসি ওয়াহিদুজ্জামান। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এসএইচডি/আরআইএস/