ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফেনীতে ৪৮০ প্রবাসীসহ ৩২০৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
ফেনীতে ৪৮০ প্রবাসীসহ ৩২০৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে

ফেনী: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ফেনীতে ৪৮০ জন প্রবাসীসহ তাদের পরিবারের ৩ হাজার ২০৪ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। 

সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, গত ২০ ঘণ্টায় ফেনীতে ১৪৬ প্রবাসীসহ ৫২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

এর মধ্যে ২১ জনের হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মৌখিকভাবে তাদের ছাড়পত্র দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত কয়েকদিনে জেলায় মোট ১২৬ জনের কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। বিমানবন্দরের তথ্যানুযায়ী ফেনীতে ৫ হাজার ৩০০ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৪৮০ প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বাকি বিদেশফেরতদের তথ্যানুযায়ী খুঁজে না পাওয়ায় তাদের হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা সম্ভব্য হয়নি।  

তিনি আরও জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেখভালের জন্য। সিভিল পোশাকে পুলিশও কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিন মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশনা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৩০ শয্যা, ফেনী ট্রমা সেন্টারের ৩০ শয্যা, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যাসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যা করে মোট ১০৫ শয্যার আইসোলেশন কর্নার করা হয়েছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ফেনীতে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন পালনে বাধ্য করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ানো ঠেকাতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তা প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ফেনীতে চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ও করোনা শনাক্তের কিট ব্যবস্থা করা যায়নি।

ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিন না মানায় ফুলগাজীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক প্রবাসীকে ১০ হাজার ও দাগনভূঞাঁতে অপর প্রবাসীকে ৫ টাকা জরিমানা করেছে বলে জানিয়েছেন ডিসি ওয়াহিদুজ্জামান। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এসএইচডি/আরআইএস/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।