তিনি নিজেই ফোন করে গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্যটি জানিয়েছেন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন ওই নার্স।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) ঢাকা থেকে বাসযোগে রাজশাহীতে ফেরার সময় ওই নার্সের সহযাত্রী ছিলেন একজন ইতালি প্রবাসী। পরদিনই তার জ্বর ও সর্দি-কাশি শুরু হয়। ওইদিনই তিনি রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। পরে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে প্রচণ্ড জ্বর ও সর্দি-কাশি থাকায় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে রাজশাহী থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর তার শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
ওই নার্স জানান, বুধবার সন্ধ্যার পরপরই সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) থেকে করোনা রেসকিউ টিমের সদস্যরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে তার রক্ত ও মুখের লালার নমুনা নিয়ে সংগ্রহ করে যান। পরদিন সন্ধ্যায় জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন।
তিনি আরও জাানান, বুধবার রাত থেকে তার জ্বরের প্রকোপ কমে আসে। সর্দি-কাশিও কমতে থাকে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কিছুসময় পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। ওষুধ দেওয়ার পর সেটা কমে যায়। ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার বিষয়ে খুবই আন্তরিক বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এসএস/এএটি