রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় হাসপাতালটিতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে পাঠানো পিসিআর মেশিন ও ২০০ কিট এসেছে। ইতোমধ্যে পিসিআর মেশিনটি হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপনে কাজ চলছে।
শনিবারের ( ২৮ মার্চ) এর মধ্যে পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সোমবার (৩০ মার্চ) থেকে হাসপাতালটিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে বলে আশা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে রংপুর বিভাগের আট জেলার করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে।
পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণ করে। এ পদ্ধতিতে খুব সামান্য পরিমাণে ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞানীরা জীবাণুর অস্তিত্ব নির্ণয়ের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য পেয়ে যান। এর মাধ্যমে সন্দেহভাজন রোগীর রক্ত, ঘাম ও কফ পরীক্ষা করে করোনা আক্রান্ত কিনা তা নির্ণয় করা যাবে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ড. নুরুন্নবী লাইজু বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে করোনা শনাক্তকরণ মেশিন পিসিআর চলে এসেছে। মাইক্রোবাইলোজি বিভাগে মেশিনটি স্থাপনের কাজ চলছে। শনিবারের মধ্যে মেশিনটি স্থাপনের কাজ শেষ হলে সোমবার (৩০ মার্চ) থেকেই রংপুর বিভাগে করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পিসিআরের সঙ্গে ২০০ কিট আনা হয়েছে। যা দিয়ে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
আরআইএস/