ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

তারিখ পেলেই উদ্বোধন বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
তারিখ পেলেই উদ্বোধন বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল

ঢাকা: সব প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে অস্থায়ীভাবে নির্মিত বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দিন নির্ধারিত হলেই কার্যক্রম শুরু হবে দেশের সর্ববৃহৎ এই হাসপাতালটির। 

বুধবার (২৯ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক নিয়মিত ব্রিফিং এ তথ্য জানান আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, আমাদের কাজ তো শেষ।

গতকাল (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি অ্যাডভ্যান্স টিম পরিদর্শন করে গেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি দল আজও দেখছেন। পরিদর্শন শেষে তারা একটি তারিখ দিলে সেদিনই উদ্বোধন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি হস্তান্তর করবেন।  

...কাজের অগ্রগতি নিয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা দুই হাজার বেড, সেগুলো বসে গেছে। পরিদর্শক দল তাদের পরিদর্শন শেষে নতুন কিছু চাহিদা দিয়েছে। সেগুলো লজিস্টিক বিষয়, এগুলো খুব অল্প সময়েই করে দেওয়া যাবে।  

কাজের সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ওসমান সরোয়ার বলেন, আমাদের ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ। বাকি কাজ দু’একদিনের মধ্যে শেষ হবে। আইসিইউ এর অল্পকিছু কাজ বাকি রয়েছে।  

...স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কবে হাসপাতালটি বুঝে নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, খুব তাড়াতাড়িই হস্তান্তর করা হবে। একই তো মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনই তো আমরা। আমরা বুঝিয়ে দিলে চলে আসবো। এরপর রোগী দেখার বিষয় থেকে যাবতীয় বিষয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।  

‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ এই স্লোগানের আলোয় পথচলা বসুন্ধরা গ্রুপ করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় সম্প্রতি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।

বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল পরির্দশন করে পরবর্তী সময়ে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০ 
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।