ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল ২৬ শয্যা হাসপাতাল হলেও নিয়মিত এখানে প্রায় ৪ হাজারের মতো রোগী সেবা নিতেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসতেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন জেলা লকডাউন থাকায় রোগীর সংখ্যা কমেছে। চার হাজারের পরিবর্তে বর্তমানে এখানে ৭শ’র কিছু বেশি রোগী রয়েছে। এর আরেকটি কারণ হচ্ছে, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দুরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনসহ সব গণপরিবহন বন্ধ থাকা।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় ঢামেক হাসপাতালের রান্না ঘরের স্টুয়ার্ট বিল্লাল হোসেন সঙ্গে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগেও প্রায় যেখানে ৪ হাজার রোগীর খাবার রান্না করা হতো।
বর্তমানে সেখানে ৭০০ কিছু বেশি রোগীর খাবার রান্না করা হয়। আগে হাসপাতালের নতুন ভবনে রোগী থাকতে ১১০০ থেকে ১২০০ জন। বর্তমানে রোগী আছে মাত্র ৫৮২ জন। আর পুরাতন ভবনে ২ হাজারের বেশি রোগী থাকতো, বর্তমানে মাত্র ১৫২ জন।
অন্যদিকে, বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কোনো রোগী নেই। সেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি চলছে। সেখানেও রোগী থাকতো ৪০০ থেকে ৫০০ জন।
প্রতিদিন ৩০ জন বাবুর্চি রোগীদের জন্য খাবার রান্না করে। দুপুরে ও রাতের তারা খাবার নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে যায়। বাবুর্চিরা দু’বেলা ওয়ার্ডে যাচ্ছে রোগীদের সংস্পর্শে আসছে। তবে রান্নাঘরের কোনো কর্মচারী এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), মাস্কসহ যাবতীয় সব কিছুই দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এজেডএস/ওএইচ/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।