ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশেই উৎপাদিত হলো করোনার ওষুধ ‘রেমিভির’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২০
দেশেই উৎপাদিত হলো করোনার ওষুধ ‘রেমিভির’

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ ‌রেমডেসিভির উৎপাদন সম্পন্ন করেছে দেশের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করে ওষুধটি বাজারজাত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রস্তুতকৃত স্যাম্পল রোববার (১০ মে) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে (এনসিএল) জমা দেওয়া হবে। তারা অনুমোদন দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই এটি বাজারে আসবে।

শুক্রবার (৮ মে) রাতে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক (মাকেটিং অ্যান্ড সেলস) ড. মুজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এটি খুচরা মূল্য পড়বে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা। এ ওষুধ কোনো লোকাল ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে না। সরাসরি সরকার নির্ধারিত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে দেওয়া হবে এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। তাই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীদের দেওয়া হবে। তবে বাইরের যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দরকার নেই।

তিনি বলেন, মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এ ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর ওষুধের ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর জন্য পাঁচ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।

করোনার রোগীদের চিকিৎসায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি এ ওষুধ সারা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) গত সপ্তাহে করোনার ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভিরকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। আর জাপানের ওষুধ প্রশাসন ৭ মে থেকে ওষুধটি করোনার রোগীদের ওপর প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।

তবে কবে নাগাদ জাপান এর উৎপাদনে যাবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলে সে দেশের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।  

মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস ওষুধটি উৎপাদনের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলেও জানা গেছে।  

এ অবস্থায় এসকেএফই বিশ্বে প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যারা জেনেরিক (মূল/গোত্র) রেমডেসিভির উৎপাদন করতে সক্ষম হলো। এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
পিএস/এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।