রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নির্মাণ করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় (২০১৩ শয্যার) এ অস্থায়ী হাসপাতাল। ওই হাসপাতালের জন্য ইতোমধ্যে ২শ চিকিৎসকও পদায়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার (১০ মে) আইসিসিবিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এহসানুল হক বলেন, হাসপাতালের জন্য প্রাথমিকভাবে ২শ জন চিকিৎসক পদায়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এখানে মোট ৪শ জনকে পদায়ন করা হবে। ২শ জনের মধ্যে ১৫ জন ইতোমধ্যে যোগদান করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্বল্পসময়ের মধ্যেই আমরা হাসপাতাল ও এর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আইসিসিবি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বুঝে নেবো।
তবে হাসপাতালটিতে এখন পর্যন্ত কোনো নার্স বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী পদায়ন করা হয়নি বলেও জানান পরিচালক। হাসপাতালটি পরিচালনায় মোট কতজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য লোকবল দরকার আর তারা কবে নাগাদ যোগদান করবেন সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান এই চিকিৎসক।
এদিকে আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এমএম জসীম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন আমরা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আজ বা আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ গণমাধ্যমে জানাতে পারব বলে আশা রাখছি।
উদ্বোধনের খানিক বিলম্ব নিয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, এত বড় একটি হাসপাতাল পরিচালনার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নেই। ‘ফাইন টিউনিং’ বলে একটা কথা আছে। সেগুলোর জন্যই কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। বলতে পারেন পরিকল্পনা পর্যায়ের এই বিলম্বের কারণ হচ্ছে প্রস্তুতি নেওয়া যেন পরিচালনা পর্যায়ে কোনো বিলম্ব না হয়। তবে এখন সবদিক থেকেই আমরা প্রস্তুত। ওয়াশিং প্ল্যান্ট বসানো হয়ে গেছে। একটি সমঝোতা চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে অচিরেই আমরা সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে উদ্বোধনের তারিখ জানাবো। বিলম্ব হলেও হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত দাবি করে জসীম উদ্দিন বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা একটি বার্তা দিতে চাই যে, হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধনে কিছুটা বিলম্ব হলেও করোনা মোকাবিলায় এই হাসপাতাল পুরোপুরি প্রস্তুত। একটি কোভিড হাসপাতাল যেমন হওয়া দরকার এটিতে তেমনই আছে। আর এখন যে অবস্থা তাতে এই করোনা নিয়েই আমাদের চলতে হবে। সরকার যেমন বলেছেন জীবন ও জীবিকা একসঙ্গে চালাতে হবে তেমনি। কাজেই এই হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা আগামীতেও থাকবে কারণ করোনা অচিরেই যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করতে পারেন এমন আশা প্রকাশ করে এই কর্মকর্তা বলেন, সবারই একটা চাওয়া প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হলেও এটা উদ্বোধন করতে পারেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে আমরা অনানুষ্ঠানিকভাবে জানতে পেরেছি। দেশের মানুষের মধ্যে ওনার যে আস্থা সে হিসেবেও উনি উদ্বোধন করুক এমনটা অনেকেই চান বলেও আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
এসএইচএস/এএটি