বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালী, ভোলা ও পিরোজপুর ছাড়া তিন জেলায় ২১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল নগরেই রয়েছে ১৬ জন।
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও তাদের পরিবারের মিলিয়ে মোট ২৯ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং জেলা পুলিশে প্রথম কোনো সদস্য আক্রান্ত হলেন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ১২ হাজার ৬৪৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় ১১ হাজার ৮৭৯ জনকে। ইতোমধ্যে ৯ হাজার ৬৯৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৭৬৪ জন এবং এ পর্যন্ত ৬৯৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯৮ এবং এরইমধ্যে ২২৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ১২১, পটুয়াখালীতে ৩৪, ভোলায় ১৭, পিরোজপুরে ৪১, বরগুনায় ৪৯ ও ঝালকাঠিতে ২৮ জন করোনা ভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে গোটা বিভাগে ১১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বরিশালের মুলাদীতে একজন, ঝালকাঠির নলছিটিতে একজন, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় একজন, মির্জাগঞ্জে একজন, দুমকিতে একজন, বরগুনা জেলার আমতলীতে একজন ও বেতাগীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এমএস/এফএম