শনিবার (২৩ মে) বিকেলে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকায় জাতীয় শেরেবাংলা ইনস্টিটিউটে মোট ৫১ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে সাতটি পজিটিভ এসেছে।
রাজশাহী সিভিল সার্জন আরও বলেন, জেলার কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তানোর উপজেলার তিনজন এবং পবা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাঘা উপজেলায় একজন করে রয়েছেন।
রাজশাহীতে এ নিয়ে আক্রান্ত ৩৯ জন। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরীতে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে একজন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুক্রবার রাতে মারা গেছেন। এছাড়া বাঘা উপজেলার আরেক বৃদ্ধের প্রাণ গেছে করোনায়। রাজশাহীতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন আটজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবা উপজেলায় নতুন আক্রান্ত নারীর বাড়ি বসুয়া এলাকায়। দূর্গাপুরের আক্রান্ত রোগীর বাড়ি ভবানীপুর গ্রামে। সে ঢাকার সাভারের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বাবা গাজীপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। গত ১৫ মে সে গ্রামে এসেছিল।
তানোরের তিনজনের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয়। অন্য দুইজন ঢাকা ফেরত। এ দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি উপজেলার কোয়েলহাট গ্রামে। অন্যজনের মহাদেবপুর গ্রামে। ঢাকা থেকে ফেরার পর তারা কোয়ারেন্টিনেই ছিলেন।
অন্য পাঁচজন আক্রান্ত ব্যক্তিও নিজ নিজ বাড়িতেই আছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
এসএস/টিএ