সোমবার (২৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, নতুন করে আরেকটি ল্যাব যুক্ত করা হয়েছে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন, রংপুরে বিভাগে একজন রয়ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী পাঁচজন। বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরে মধ্যে দু’জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে দু’জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে তিন জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে সাত হাজার ৩৩৪ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৮৪ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৬৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৩৮৪ জন। অদ্যাবধি মোট কোয়ারিন্টিনে এসেছেন দুই লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৩ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৪৫৮ জন। বর্তমানে কোয়ারিন্টিনে আছেন ৫৫ হাজার ৪০৫ জন।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।
‘সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে চার হাজার ১৫০টি। ঢাকার ভিতরে আছে সাত হাজার ২৫০ টি। ঢাকা সিটির বাহিরে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।
এসময় অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দিকনির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে ঈদের দিনও মৃত্যুর সংবাদ দিতে হচ্ছে বলে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছাও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
পিএস/এএ