মঙ্গলবার (২৬ মে) ঈদের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো ঘুরে ফাঁকা দেখা যায়। তবে এর মধ্যে তরুণ ও যুবকদের দেখা গেছে ফাঁকা শহরে ঘুরে বেড়াতে ও বিভিন্ন স্থানে আড্ডা দিতে।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৫ জন নতুন করে শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ। এর মধ্যে এদিন দুপুরে শহরের খানপুরে বসবাসরত একজন গাইনি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তার করোনা পজিটিভ ছিল।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ বলেন, আসলে ঈদের আগে গার্মেন্টস ও প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ায় আক্রান্ত এখন প্রতিদিন বাড়ছে। আমাদেরকে অবশ্যই ঘরে ঈদ উদযাপন করতে হবে। যেহেতু এখন জরুরি কোনো প্রয়োজন নেই তাই যেন আমরা ঘর থেকে বের না হই।
সকাল থেকে দেখা যায়, শহরের খাবারের দোকান ও ফাস্টফুডের দোকানগুলো বন্ধ। পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্রও খোলেনি এদিন। শুধু ফার্মেসি ও কয়েকটি মুদির দোকানের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ছাড়া প্রায় সব কিছুই বন্ধ ছিল। তবে প্রতিটি এলাকায় যুবক ও তরুণদের আড্ডায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দেখা গেছে।
ঈদের আগে করোনার হটস্পট হওয়ার পরও শহরের মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা ছিল খুব কম। প্রতিদিন মানুষকে ঘরে রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অধিকাংশ শিল্পকারখানাও ছিল খোলা। এর ফল ভোগ করছে এখন। ক্রমে বাড়ছে নতুন আক্রান্ত। ঈদে ফাঁকা শহর দেখা মিলছে, লকডাউনে তা ছিল অনেকটা অনুপস্থিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এএ