শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৮২টি।
তিনি আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন, রংপুরে বিভাগে দুই জন, বরিশাল বিভাগে এক জন ও সিলেট বিভাগে রয়েছেন এক জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী চার জন। বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরে মধ্যে এক জন,৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে পাঁচ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন নয় হাজার ১৫ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩২৮ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন পাঁচ হাজার ১৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছে চার হাজার ৯০০ জন। অদ্যাবধি মোট কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৫ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৭০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬০ হাজার ২৭৫ জন। দেশের ৬৪ জেলায় ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৮১ জনকে।
তিনি আরও জানান, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে চার হাজার ১৫০টি। ঢাকার ভেতরে আছে সাত হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে শয্যা রয়েছে ছয় হাজার ৩৪টি। আইসিইউ সংখ্যা রয়েছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১০৬টি।
এ সময় অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দিকনির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
পিএস/আরআইএস/