ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে প্রথমবারের মতো পোস্ট কোভিড ফলোআপ ক্লিনিক চালু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২০
দেশে প্রথমবারের মতো পোস্ট কোভিড ফলোআপ ক্লিনিক চালু দেশে প্রথমবারের মতো পোস্ট কোভিড ফলোআপ ক্লিনিক চালু

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দেশের প্রথম পোস্ট কোভিড ফলোআপ ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাদের দীর্ঘ মেয়াদী ফলোআপের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ক্লিনিক চালু করেছে।

 

প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইন্টার্নাল মেডিসিন বর্হিবিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফলোআপ সেবা দেওয়া হবে।  

শনিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় বহির্বিভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এই ক্লিনিক উদ্বোধন করেন।  

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমরা কর্মস্পৃহা, একাগ্রতা, সেবার মানসিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে যাচ্ছি। গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর থেকে ফিভার ক্লিনিক, টেলিমেডিসিন সেবা, আউটডোর সেবা, পিসিআর ল্যাব সার্ভিস, পৃথক কোভিড-১৯ হাসপাতাল স্থাপন ও বহুবিধ গবেষণার মাধ্যমে বিএসএমএমইউ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসএমএমইউতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ ফলোআপ ক্লিনিক চালু করা হলো। এই ক্লিনিকটি প্রাইমারি কেয়ার সেন্টার হিসেবে কাজ করবে। এখান থেকে যাদের অতি বিশেষায়িত সেবা যেমন-পালমোনলজি, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, নিউরোলজি, সাইকিয়াট্রি, ফিজিক্যাল মেডিসিনসহ অন্যান্য বিভাগের পরামর্শের প্রয়োজন হবে, তাদের সংশ্লিষ্ট বর্হিবিভাগে রেফার করা হবে।  

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে আক্রমণ করে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এ কারণে মাঝারি ও তীব্র কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের দীর্ঘ মেয়াদী ফলোআপের প্রয়োজন। যুক্তরাজ্য, চীন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যেই পোস্ট কোভিড-১৯ ফলোআপ সেবা চালু হয়েছে। ফলোআপের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষণ ও প্রতিক্রিয়াগুলো চিহ্নিত করতে পারলে বিপুল সংখ্যক রোগীকে দীর্ঘ মেয়াদী রোগের স্থায়িত্ব এবং মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানান, কোভিড -১৯ আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৫ বছর ফলোআপ করার প্রয়োজন হবে। আপাতত মেডিসিন বর্হিবিভাগে চালু হলেও পরবর্তীতে ফলোআপ ক্লিনিক আরও বৃহৎ পরিসরে চালু করা হবে। এই ক্লিনিকটি পরিচালনায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমপেরিয়াল কলেজ, লন্ডন কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। তাছাড়া এই ক্লিনিকটি কোভিড-১৯ গ্লোবাল ফলোআপ কনসোর্টিয়ামের একটি অংশ।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২০
পিএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।