ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সিংগাইরে সিটি হাসপাতাল সিলগালা, ৯ জনের জেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
সিংগাইরে সিটি হাসপাতাল সিলগালা, ৯ জনের জেল

মানিকগঞ্জ: প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সিটি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির মালিকের স্ত্রী ও কর্মীসহ নয়জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (২৫ মে) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপন দেবনাথের উপস্থিতিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মা লাবিয়া অর্ণব হাসপাতালটি সিলগালা করে অপরাধীদের দণ্ড দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাসপাতালটির সিকিউরিটি গার্ড হামিদুর রহমান ও আব্দুল করিম, হাসপাতালের মার্কেটিং বিভাগের পারভীন আক্তার, ফাতেমা আক্তার, সুমি আক্তার, শিল্পী আক্তার এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিক নজরুল ইসলাম স্বপনের স্ত্রী তানিয়া।

জানা যায়, গত রোববার (২২ মে) ওই হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের টাকিমারা গ্রামের মুখলেছ মিয়ার স্ত্রী সাবিনা। এর কিছুক্ষণের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাবিনার মৃত্যু হয়। তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. ইমা বিনতে ইউনুছ। মৃত্যুর কথা গোপন করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সাবিনাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে স্বজনরা তার মৃত্যু হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন। এ ঘটনায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। তদন্তে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. ফারহানা নবিকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।  

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ডা. ফারহানা নবি বলেন, এরই মধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিক তদন্তের সময় প্রতিষ্ঠানের মালিক নজরুল ইসলাম স্বপনের কাছে তার প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা দেখাতে পারেননি। সরকারি কাগজে কলমে সিংগাইরে সিটি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে কোনো হাসপাতাল নেই। যিনি প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করেছেন, তিনি কোনো ডিগ্রিধারী চিকিৎসক নন। এমনকি যে ডাক্তার অচেতন করেছেন, তারও কোনো ডিগ্রি নেই।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মা লাবিয়া অর্ণব বলেন, ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এর কোনো সরকারি নিবন্ধন পাওয়া যায়নি। একজন চিকিৎসক ও পাঁচজন নার্স রয়েছেন ওই হাসপাতালটিতে। অভিযান চলাকালে মালিক নজরুল ইসলাম পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালের বিভিন্ন সেক্টরের নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কোনো অনুমোদন না থাকায়, তা  সিলিগালা করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।