ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বৈঠকে ঐকমত্যে ব্যর্থ ন্যাটো, ইউক্রেনের জন্য লিওপার্ড-২ নয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
বৈঠকে ঐকমত্যে ব্যর্থ ন্যাটো, ইউক্রেনের জন্য লিওপার্ড-২ নয়

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশ রক্ষায় মিত্রদের তথা ন্যাটোর কাছ থেকে ভারী ট্যাংক চেয়েছিলেন। কিন্তু, তার এ আহ্বানে সাড়া দিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্যরা।

কারণ, লিওপার্ড ট্যাংক দিলে ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন তারা।

কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবরে বলা হয়, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ন্যাটো ও ৫০ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা জার্মানির রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে বৈঠকে বসেন। এটি অনুষ্ঠিত হয় মূলত ইউক্রেনকে আরও উন্নত ট্যাংক ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা দেওয়া নিয়ে। কিন্তু তারা ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিয়েভকে জার্মান যুদ্ধ ট্যাংক লিওপার্ড দিলে ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ও সেখান থেকে সৃষ্ট যুদ্ধের বয়স আজ ১১ মাস। আর কদিন বাদেই যুদ্ধ পরিস্থিতির বছর গড়াবে। এর মধ্যেই জার্মানির রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে অস্ত্র-প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত বৈঠকে বসে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।

বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল জার্মানির ওপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে দেশটি ইউক্রেনকেলিওপার্ড-২ ট্যাংক দেয়। কিন্তু বৈঠক থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কোনো পক্ষ। ফলে সামরিক যান সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে ন্যাটোয় অনেকটা ‘বিভাজন’ দেখা যাচ্ছে।

জার্মানির ট্যাংক সরবরারে বার্লিন বাধা দিচ্ছে, এমন অভিযোগ ওঠে বৈঠকে। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস। তার ভাষ্য, মিত্রদের মধ্যে ঐকমত্য থাকলে তার সরকার এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, প্রায় এক বছর ধরে চলা দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। ইউক্রেনে লিওপার্ড-২ দেওয়ার ব্যাপারে যেমন যুক্তি আছে, না দেওয়ার পেছনেও যৌক্তিক কারণ রয়েছে। কিন্তু, সেটি কি বিস্তারিত বলেননি বরিস পিস্টোরিয়াস।

লিওপার্ড-২ সরবরাহ ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ৫০ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা সেটি খর্ব করতে পারে বলেও মনে করেন তারা।

সম্প্রতি আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলফ সুলজ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে তাদের এম-১ আব্রামস ট্যাংক সরবরাহ না করে তিনিও লিওপার্ড-২ দেবেন না। এ ছাড়া পোল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের হাতে থাকা এ অস্ত্র সরবরাহের অনুমতিও দেবেন না। কারণ, এসব ট্যাংক সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কর্তৃত্ব বর্তমানে শুধু জার্মানির কাছেই রয়েছে। তারপরও দেশটির ওপর ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠাতে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।