চলতি মাসের শুরুতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৩৩টি শূন্য আসনের উপনির্বাচনে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান।
আগামী ১৬ মার্চ ওইসব শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে।
পিটিআইয়ের যেসব নেতারা ওইসব আসন থেকে অপসারিত হয়েছিলেন তারাই ইমরান খানের পক্ষে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
ইমরান খানের জন্য একাধিক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার নজির এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি ৮টি আসনে লড়াই করেন। তার মধ্যে তিনি ৬টি আসনে বিজয়ী হন।
লাহোরে সাংবাদিকদের পিটিআই নেতা শাহ মাহমুদ কোরাইশী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি জানান, পাটির বিভিন্ন পর্যায়ের মিটিংয়ে শূন্য আসনগুলোতে ইমরান খানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের পরাজয়ের পর গত ১১ এপ্রিল কমপক্ষে ১২৩ জন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পাকিস্তান নতুন সরকার গঠন করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে চলমান আথির্ক সংকটের কারণে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে বর্তমান জোট সরকার। পাকিস্তান নির্বাচনে ইমরান খানের এই সিদ্ধান্ত সরকারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এক প্রার্থী কত সংখ্যক আসনে লড়বেন, এ নিয়ে কোনো আইনি বিধিনিষেধ নেই পাকিস্তানে। তবে নির্বাচনের পর শুধু মাত্র একটি আসনই দখলে রাখতে পারবেন কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এ ক্ষেত্রে যদি একের বেশি আসনে জেতেন ইমরান, তা হলে বাকি আসনগুলোতে আবারও নির্বাচন করতে হবে।
সূত্র: ডন
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
জেএইচ