গাজায় ‘ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ’ ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে ১০০টিরও বেশি সাহায্য সংস্থা। তারা অভিযোগ করছে, ইসরায়েল খাবার প্রবেশের অনুমতি দিলেও তা গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছে না।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় পুষ্টিহীনতায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসির।
ইসরায়েল মঙ্গলবার দাবি করেছে, বর্তমানে গাজায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য অপেক্ষমাণ ৯৫০ ট্রাক সমপরিমাণ সাহায্য রয়েছে, যা তারা সংগ্রহ ও বিতরণ করতে পারেনি।
গাজার সব সীমান্ত পারাপারের পথ এখন ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনসহ শতাধিক আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা যৌথ বিবৃতি দিয়ে গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিরা এখন এক অনিশ্চিত চক্রে আটকে পড়েছে—যেখানে একদিকে সহায়তা ও যুদ্ধবিরতির আশায় বুক বাঁধছে, অন্যদিকে প্রতিদিন ঘুম ভাঙছে আরও করুণ বাস্তবতায়।
ইসরায়েল স্বীকার করেছে, সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় সরবরাহযোগ্য ত্রাণ প্রবেশ গুরুতরভাবে হ্রাস পেয়েছে। তবে তাদের দাবি—খাদ্য গাজায় রয়েছে, কিন্তু ত্রাণ সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার কারণেই তা ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে পৌঁছাচ্ছে না।
অন্যদিকে ত্রাণ সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপদ পথের সমন্বয় করতে না পারায় তারা ত্রাণ বিতরণে বাধার মুখে পড়ছে।
গত কদিনে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টিজনিত কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত দুই মাসে শত শত ফিলিস্তিনি খাবারের অপেক্ষায় থেকে নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
গাজা থেকে বিবিসির প্রতিবেদক রুশদি আবু আলউফ জানিয়েছেন, সেখানে একজন বাসিন্দা তাকে বলেছেন, প্রতিদিন কেবল ডাল ও এক টুকরো রুটি খেতেই খরচ হচ্ছে ৬০০ শেকেল (প্রায় ১৩৩ পাউন্ড)।
অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় তাদের স্থল ও বিমান অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বুধবার হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, গাজায় বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে।
আরএইচ