ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহু ইসরায়েলিদের মঙ্গল চান না: ইসরায়েলি এমপি 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
নেতানিয়াহু ইসরায়েলিদের মঙ্গল চান না: ইসরায়েলি এমপি 

হামাসের হামলার মধ্যেই ইসরায়েল সরকার ও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেছেন একজন ইসরাইলি সংসদ সদস্য।  

নেতানিয়াহু ইসরায়েলিদের মঙ্গল চান না ও ইসরায়েল সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

রোববার (৮ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ওফার ক্যাসিফ নামের সেই সংসদ সদস্য।  

ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের বামপন্থী হাদাশের সদস্য ওফার ক্যাসিফ। ১২০ সদস্যের নেসেটে হাদাশের চারটি আসন রয়েছে।

কাসিফ বলেন, ‘ইসরায়েল সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। তারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যাকে সমর্থন করে, উৎসাহিত করে এবং নেতৃত্ব দেয়। সেখানে জাতিগত নিধন চলছে। দেয়ালে ফিলিস্তিনিদের রক্ত দিয়ে যে লেখা দেখা যেত, দুর্ভাগ্যবশত এখন ইসরাইলিদেরও একই দশা হতে চলেছে। ’

নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করে ওই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘তিনি দখলদারিত্বের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনেননি। কারণ, নেতানিয়াহু ইসরাইলের নাগরিকদের মঙ্গল চান না, অধিকৃত অঞ্চলের ফিলিস্তিনিরা দূরের কথা। তিনি শুধু ক্ষমতায় থাকতে আগ্রহী। মামলা থেকে রেহাই পেতে শুধু জেলের বাইরে থাকতে চায়। এটিই একমাত্র প্রেরণা ও উদ্দেশ্য। ’

তার দল আগেই সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, ফিলিস্তিনি ভূমিতে অবৈধ দখল অব্যাহত রাখলে হামাসের ভয়াবহ হামলার শিকার হতে পারে ইসরায়েল - জানান ক্যাসিফ।

তিনি বলেন, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার যদি ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার নীতি পরিবর্তন না করে তবে পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ হবে।  

ক্যাসিফ বলেন, আমরা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে কোনো হামলার নিন্দা ও বিরোধিতা করি। অর্থাৎ আমরা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে কোনো হামলার বিরোধিতা করি। আমাদের অবশ্যই সেই ভয়ানক ঘটনাগুলি (আক্রমণ) ও চলমান দখলদারিত্ব নিয়ে সঠিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে (নিপীড়ন-দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে) বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে। এতে প্রত্যেককে বিশেষ করে উভয়পক্ষের নিরীহ নাগরিকদের মূল্য দিতে হবে। এবং দুর্ভাগ্যবশত, ঠিক তাই ঘটছে।

হামাস শনিবার ভোরে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করে এবং গাজা-ভিত্তিক গোষ্ঠীর যোদ্ধারা ইসরায়েলের শহর ও অবৈধ বসতিতে অনুপ্রবেশ করে বহুমুখী হামলা শুরু করে।

এই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর ৪৪ জন সদস্য রয়েছেন।  

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩৭০ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এসএএইচ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।