গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর গোলা বর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় জাতিসংঘের অন্তত ১৪ জন কর্মী নিহত হয়েছেন।
এই নিয়ে গত তিন সপ্তাহে গাজায় জাতিসংঘের নিহত কর্মকর্তা ও কর্মীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৩ জন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি (আনরোয়া) শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২১ দিনের ইসরায়েলি বাহিনী গোলা বর্ষণে গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার উপত্যকার ১৫০টি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এই শিবিরগুলো পরিচালনা করে আনরোয়া।
ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কাজের সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি শুক্রবার বলেন, গাজায় জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে এবং এটি একটি ‘ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকির’ দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
ইউনেস্কো বলেছে যে ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজায় ২০০টিরও বেশি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে গাজায় দ্বিতীয়বারের মতো স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, রাতে তাদের স্থলবাহিনী গাজায় প্রবেশ করে সুজাইয়া অঞ্চলে অভিযান চালানোর সময় হামাসের কয়েক ডজন লক্ষ্যে (টার্গেট) হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত ইরেজ ক্রসিংয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ২২০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাসযোদ্ধারা।
পাল্টা জবাবে হামাস শাসিত গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। যা এখনও চলছে। গাজা অবরুদ্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
গত ২০ দিনের এই যুদ্ধে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ হাজার।