চলমান নিরাপত্তা হুমকির প্রেক্ষাপটে ইরানের সাইবার সিকিউরিটি কমান্ড এক ঘোষণায় ইন্টারনেট সংযুক্ত স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার সীমিত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তারা জানিয়েছে, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ ও পোর্টেবল কম্পিউটারসহ যেকোনো নেটওয়ার্ক-সংযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট টিমের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
এদিকে, রাজধানী তেহরানে জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে ১৭টি ভ্রাম্যমাণ ফুয়েল স্টেশন চালু করেছে দ্য ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম প্রডাক্টস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আরও ১৩টি অস্থায়ী স্টেশন খুব শিগগিরই চালু হবে। জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই বলেও তারা আশ্বস্ত করেছে।
অন্যদিকে, জি-৭ নেতাদের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই হামানেহ। তিনি বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জি-৭ নেতারা নীরব থেকেছেন, যা নিন্দনীয়।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা নিহত হন। পাল্টা জবাবে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলে হামলা চালায়।
এই পাল্টাপাল্টি হামলা ১৭ জুন পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ধরে চলছে। এতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ সময় ওমানে নির্ধারিত ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক আলোচনা বাতিল হয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
আরএইচ