ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রুশ-ইউরোপীয় মঙ্গল মিশন শুরু ১৪ মার্চ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
রুশ-ইউরোপীয় মঙ্গল মিশন শুরু ১৪ মার্চ

ঢাকা: সৌরজগতের লালগ্রহ মঙ্গল সম্পর্কে এখনো অনেক কমই জানতে পেরেছে পৃথিবীবাসী। দিনরাত গলদঘর্ম হচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

তারপরও সেখানে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, কিংবা আদৌ গ্রহটি মানুষের ‘সেকেন্ড হোম’ হতে পারবে কি না, জানা গেল না। প্রশ্নের পর প্রশ্ন জমা পড়ছে, কিন্তু উত্তর মিলছে খুব কমই। আর তাই ঝুঁকি নিয়ে বিলিয়ন ডলার খরচ করে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গবেষকরা।

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সোমবার (১৪ মার্চ) কাজাখস্তানের বাইকোনুর থেকে প্রোটন রকেটে চেপে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা হবে রাশিয়া ও ইউরোপের যৌথ স্যাটেলাইট ‘এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার (টিজিও)’। আন্তর্জাতিক সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৩১ মিনিট) উৎক্ষিপ্ত হবে রকেটটি।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্যাটেলাইটটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের মূল উপাদানগুলো সনাক্ত করার চেষ্টা করবে। গ্রহটির বাতাসে কি পরিমাণ মিথেন রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করবে।

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মিথেনের উপস্থিতির খবরে এর আগে সাড়া পড়ে যায় বিজ্ঞানী মহলে। এ গ্যাসের উপস্থিতি মানে গ্রহটিতে অনুজীবের উপস্থিতির সমূহ সম্ভাবনা। রুশ-ইউরোপীয় স্যাটেলাইটটি এসব নিশ্চিতের চেষ্টা করবে বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

হিসাব কষে বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, স্যাটেলাইট টিজিও-কে সৌরজগতের লাল গ্রহটির অভিমুখী করতে প্রোটন রকেটটির সময় লাগবে ১২ ঘণ্টা। মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করতে স্যাটেলাইটটিকে মহাশূন্যে ছুটতে হবে সাত মাস ধরে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৬ অক্টোবর একটি ছোট ল্যান্ডিং মডিউলকে, যা শিয়াপারেলি নামে পরিচিত, ছাড়বে টিজিও।

১৯ অক্টোবর শিয়াপারেলি পা রাখবে মঙ্গলের মাটিতে। তবে এ ব্যাপারে খুব একটা নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। প্রকৌশলীরা আসলে দেখতে চাইছেন, লাল গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় মডিউলটির কি অবস্থা হয়। আর নির্বিঘ্নে যদি প্রবেশ করতেই পারে এটি, তাহলে অবতরনের সময় কি ঘটে। যদি ঠিকঠাকভাবে শিয়াপারেলি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে, তাহলে বোনাস হিসেবে একে দিয়ে কিছু পরীক্ষা চালানো হবে।

টিজিও স্যাটেলাইটের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণসূচিও তৈরি করে ফেলেছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৬ অক্টোবর এটি মঙ্গলের কাছে পৌঁছাবে। একইদিন শিয়াপারেলিকে ছাড়া হবে। এটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ঘণ্টায় ২১ হাজার কিলোমিটার বেগে প্রবেশ করবে। এতে সংযুক্ত থাকবে একটি তাপ প্রতিরোধী আবরণ ও প্যারাসুট। আর গতি কমিয়ে আনতে এতে থাকবে একটি রকেট। মঙ্গলে প্রবেশের আগে থেকেই শিয়াপারেলি ছবি তুলতে শুরু করবে। ব্যাটারির চার্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত, কিংবা বিধ্বস্ত না হওয়া পর্যন্ত মঙ্গলের পরিবেশকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে এটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।