ত্রিপোলি: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির বিভিন্ন অংশের দায়িত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রনে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহী কর্তৃপক্ষ। রাজধানীতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মুয়াম্মার গাদ্দাফি পলায়ন করেছে বলেও দাবি করছে তারা।
রাজধানীর শুক আল জুমা এবং তাজুরার নিয়ন্ত্রন বিদ্রোহীদের হাতে। এদিকে এক অডিও বার্তায় গাদ্দাফি বিদ্রোহীদের বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গাদ্দাফির এক অডিও বার্তা প্রচার করা হয়। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে গাদ্দাফির যে বক্তব্য খুব স্পষ্ট শোনা যেত, এই বক্তব্য অতটা স্পষ্ট নয়। আর তাই বিদ্রোহীরা দাবি করছে যে গাদ্দাফি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে অন্য কোতাও থেকে রেকর্ড করা বার্তা প্রচার করছেন।
ওই অডিও বার্তায় গাদ্দাফি বলেন,বিদ্রোহীরা বিশ্বাসঘাতক। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাতে হবে।
এদিকে বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গাদ্দাফি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। দুরে কোথাও থেকে তিনি স্যাটেলাইট ফোনে বার্তা পাঠাচ্ছেন। তিনি রাজধানীতে নেই।
শনিবার রাতে গাদ্দাফিপুত্র সাঈফ ইসলাম এক অডিও বার্তায় বলেন, আমি এবং আমার পরিবার লিবিয়া ছেড়ে কোথাও যাবো না। আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
বিদ্রোহীরা তাজুরা এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়েছেন এবং সেখানে স্থানীয় কাউন্সিল শুরু করে দিয়েছে তারা। বিদ্রোহীরা ত্রিপোলির শহরতলী তারিক আশিক্কার দখলও নিয়ে নিয়েছে।
ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও বিদ্রোহীদের দখলে এবং বিমানবন্দরে বিদ্রোহীরা তাদের পতাকা টানিয়ে দিয়েছে।
অপর এক সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার সময় বিমানবন্দর থেকে একটি কার্গো বিমান গাদ্দাফি ও তার পরিবারকে নিয়ে চলে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১১