ঢাকা: লিবিয়ায় গাদ্দাফি সেনাদের পতন আসন্ন। বিদ্রোহী সেনাদের দখলে ত্রিপোলির ৯৫ ভাগ এলাকা।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘আজ (রোববার) রাতে গাদ্দাফির শাসন একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। ত্রিপোলি স্বৈরশাসকের কবল থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছে। রক্তপাত শেষ হওয়ার এটা খুবই স্বাভাবিক পথ। মুয়াম্মার গাদ্দাফির এই বাস্তবতা মেনে নেওয়া উচিৎ, তিনি আর লিবিয়া নিয়ন্ত্রণ করছেন না। তাকে চিরতরে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। ’
এর আগেই যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদকে (টিএনসি) স্বীকৃতি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘সব পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে মনে হচ্ছে, ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির পতন আসন্ন। গাদ্দাফি লিবিয়ার লোকজনের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছেন। লোকজনকে আর ভোগান্তির মধ্যে না ফেলে তার অবশ্যই সরে যাওয়া উচিৎ। ’
এদিকে, গাদ্দাফি বলেছেন তিনি লিবিয়া ছেড়ে কোথাও যাবেন না। তিনি লিবিয়ার জনগণের কাছে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি লুইস মরেনো ওকাম্পো বলেছেন, তিনি লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং তাদের কাছে আবেদন জানাবেন গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলামকে আইসিসির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
ত্রিপোলির অদূরে তাজুরা থেকে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী আত্মসমর্পণের জন্য বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে। চ্যানেল ফোরের আন্তর্জাতিক সম্পাদক লিন্ডসে হিলসাম তার টুইটারে লিখেছেন, ত্রিপোলির অধিবাসীরা রাস্তায় দুধ এবং পানি নিয়ে বিদ্রোহীদের স্বাগত জানাচ্ছে।
আল অ্যারাবিয়া টিভি চ্যানেল বিদ্রোহীদের প্রধান মোস্তফা আবদেল জলিলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘কেউ জানে না গাদ্দাফি এখন কোথায়?’
মোস্তফা আবদেল জলিল আল জাজিরাকে জানান, ‘বিদ্রোহীরা প্রতিসিংসাপরায়ণ হয়ে উঠলে আমি পদত্যাগ করবো। ’
তিনি আরও জানান, বিদ্রোহীদের অন্তর্বর্তী পরিষদের প্রধান কার্যালয় বেনগাজি থেকে ত্রিপোলিতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা চলছে। বিদ্রোহীরা রাজধানীর গ্রিন স্কয়ারের নাম পাল্টে শহীদ স্কয়ার রেখেছেন।
লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদেস সালাম জালুদ বলেছেন, গাদ্দাফির আত্মহত্যা করার সাহস নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ত্রিপোলিতে গাদ্দাফি অনুগত সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপক সংখ্যক বিদ্রোহী সেনা প্রাণ হারিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১১