রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো শনিবার (৮ এপ্রিল) এ খবর জানায়।
সিরিয়ার প্রতি মার্কিন বাহিনীর হুমকি মোকাবেলায় দেশটিকে জরালোভাবে সমর্থন দিতেই এ রণতরী ভূমধ্যসাগরে পাঠিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়া বলছে, সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল শিয়ারত বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার পর সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে তারা সহযোগিতা করেছে।
গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইদলিব প্রদেশে দেশটির সরকারি বাহিনীর বিদ্রোহীদের অস্ত্র কারখানা লক্ষ্য করে রাসায়নিক হামলা চালায়। এতে বিস্ফোরণে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে ২৩ শিশুসহ অন্তত ৮০ জন নিহত হয়।
তবে ওই রাসায়নিক হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। একই সঙ্গে ওই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন তিনি।
এদিকে, হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে দায়ী করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে, আসাদের মিত্র রাশিয়া বলছে, সরকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলাটি চালিয়েছিলো।
সিরীয় সরকারি বাহিনীর ওই হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরের মার্কিন রণতরী থেকে সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে ৫০-৬০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
এতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে চিড় ধরছে। পাল্টা-পাল্টি কাদা ছোড়াও অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
টিআই