তেলআবিব: শত শত ইসরায়েলি বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষাবিদ সমাবেশ করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ফিলিস্তিনের জাতিসংঘে যাওয়ার উদ্যোগের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানী তেলআবিবে লেখক, বুদ্ধিজীবী এমনকি ছাত্ররাও পর্যন্ত ওই সমাবেশে যোগ দেন।
তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব তুলতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে আহ্বান জানিয়েছেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ইয়েল দায়ান, লেখক শেফি রাচলেভোস্কি, ১৯৬৮ সালের ছাত্র-বিক্ষোভের নেতা ড্যানিয়েল কোহন বেন্দিত, অধ্যাপক ডেভিড হ্যারেল, অধ্যাপক ইউসেফ আগাসি, ওয়ান ভয়েচের তাল হ্যারিসসহ আরও অনেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাপরিচালক অ্যালান লিয়েল বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দেওয়া বক্তৃতাকে আবু মাজেনের (মাহমুদ আব্বাস) প্রতি বৈরী আচরণ বলে উল্লেখ করেন।
বারাক ওবামার দেওয়া বক্তৃতাকে আমেরিকার নির্বাচনী বক্তৃতা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওবামা যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন এবং বাইরাইনের বিদ্রোহীদের সমর্থন দিলেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি কোন সমর্থন ব্যক্ত করেননি।
আব্বাসকে ওবামার সমর্থন না দেওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে লিয়েল বলেন, ‘আব্বাস তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর পর বিষয়টি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তুলেছেন। ’
সম্প্রতি কয়েকজন প্রসিদ্ধ ইসরায়েলি লেখকের মাহমুদ আব্বাসের রামাল্লার কার্যালয় পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে তারা (লেখকরা) চাপের মুখে ফিলিস্তিনিদের নতি স্বীকার না করার জন্য বলেন। ’
ইয়েল দায়েন বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের দাবিকে ইসরায়েল একপক্ষীয় বলছে। ’ দায়েন প্রশ্ন রাখেন, ‘দখল করে রাখা কি একপক্ষীয় নয়? দুই পক্ষই কি দখল করে রেখেছে? দুই পক্ষেরই কি একই ধরনের অবকাঠামো আছে? আমাদের সব কিছুই আছে কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কিছুই নেই। আমাদের মত ফিলিস্তিনিরাও সবকিছু থাকার অধিকার রাখে।
শিক্ষাবিদরা আব্বাসকে সবচেয়ে প্রগতিশীল নেতা হিসেবে বর্ণনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১১