রাত হলেই নামে বন্য হাতির দল। তাদের বিচরণে গত কয়েক মাসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের একটি বেসরকারি হিসেব বলছে, প্রতিবছর পুরো দেশে অন্তত ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয় কেবলমাত্র হাতির তাণ্ডবে।
অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল উত্তর প্রদেশে রয়েছে বাঘের শঙ্কা। গত এক সপ্তাহে তিনজন মারা গেছেন বাঘের থাবায়। আর গত বছরের আক্টোবর থেকে চলতি আগস্ট পর্যন্ত এই মৃতের সংখ্যা ১৬ জন।
প্রদেশ বন বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা ভিকে সিং বলেন, আমরা একটি দল পাঠিয়েছি, যারা বাঘের আবাস কেন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা বের করবে। স্থানীয় বনে-জঙ্গলে বাঘ থাকে, তারা লোকালয়ে এলে ভয় পেয়ে আক্রমণ করে বসে, যাতে ঘটছে প্রাণহানি। সাধারণ মানুষও ভয়ে আছেন। তাই সঠিক উপায় বের করার কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
দক্ষিণ ভারতেও এমন আক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। সেখানে রয়েছে চিতা। মূলত জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া এবং বনভূমির পরিমাণ কমে যাওয়া এর জন্য দায়ী, জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও ভারতের বন বিভাগ বন্যপ্রাণি রক্ষায় যথেষ্ট উন্নতি করেছে। প্রাণীকে না মেরে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি হ্রাস করে কাজ করতে পেরেছে তারা।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭-এর মে পর্যন্ত সময়ে এক হাজার ১৪৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যারা মারা গেছেন বাঘ ও বন্য হাতির আক্রমণে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) চেয়ারম্যান আলেকজান্দ্রা জিম্মারমান বলেন, মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে সংঘাত একটা বড় সমস্যা। বিশেষ করে ঘনবসতির দেশে।
বাঘের মৃত্যু রোধে ১৯৭০ সালে ভারত সরকার প্রকল্প চালু করে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তবুও ছোট কিছু সমস্যায় মানব প্রাণহানি ঘটছে, যা শুন্যে নামিয়ে আনাই লক্ষ্য। রয়েল বেঙ্গল টাইগার জাতের বাঘ বিশ্বের তিন ভাগের দুই ভাগ ভারতে বাস করে। গত পাঁচ বছরে এর সংখ্যা পাঁচশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন রয়েছে প্রায় দুই হাজার ২শ। উল্টো কমেই চলেছে বাংলাদেশে। উত্তরখণ্ডে ৩৪০, মধ্যপ্রদেশে ৩০৮, তামিলনাড়ুতে ২২৯, মহারাষ্ট্রে ১৯০, আসামে ১৬৭, কেরালায় ১৩৬ এবং উত্তর প্রদেশে ১১৭টি বাঘের বিষয়ে ২০১৫ সালের এক তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
আইএ