এর আগে ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল টেন গত রোববার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানায় যে, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে বলেন। অন্যথায় তার উপর পদত্যাগের চাপ সৃষ্টি করেন যুবরাজ মোহাম্মদ।
এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ পার্টির মুখপাত্র ওসামা কায়াসমেহ মঙ্গলবার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানান।
পাশাপাশি সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের সাথে মাহমুদ আব্বাসের বৈঠক খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলি ওই প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি। এটা একেবারেই সত্য নয়। সৌদি আরবে আব্বাসের সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। সৌদি আরব ফিলিস্তিনি অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে, যার ভিত্তি ১৯৬৭ সালের জুন মাসের পূর্বের সীমানা অনুযায়ী ‘দুই রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা। ’ ‘আমাদের এবং সৌদি আরবের অবস্থান একই ধারায়’ যোগ করেন তিনি।
গত সপ্তাহে সৌদি আরব সফরে গিয়ে সেখান থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। এরপর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন তিনি।
সেখানে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য গতকাল তিনি টেলিভিশনের সামনে উপস্থিত হয়ে এর সত্যতা প্রত্যাখ্যান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
আরআই