বেসরকারি গবেষণা সংস্থা প্রো-পাবলিকা ও সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইপিএ’র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বেশি চাকরি ছেড়েছেন ওই কর্মীরা।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতির বায়ু ও পানি সুরক্ষার জন্য অর্জিত জ্ঞান অকার্যকর দেখে ইপিএ কর্মীরা সরে পড়েছেন ক্ষোভে-অভিমানে। ট্রাম্প জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের আসনে বসার পর চাকরিতে ইস্তফা দেওয়া লোকদের মধ্যে ২৭ শতাংশই বিজ্ঞানী। এরমধ্যে ৩৪ জন জীববিজ্ঞানী ও অণুজীববিজ্ঞানী, ১৯ জন রসায়ন বিজ্ঞানী, ৮১ জন পরিবেশ বিষয়ক প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী এবং ডজনেরও বেশি বিষতত্ত্ববিদ, জীবন যাপন বিষয়ক বিজ্ঞানী এবং ভূগোলবিদ।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পরবর্তী মাসে ইপিএ’র প্রশাসক পদে যে স্কট প্রুইটকে নিয়োগ দেন, তিনি একসময় উপহাস করতেন বিজ্ঞানীদের। এমনকি এই এজেন্সিরই কার্যক্রম নিয়ে একবার আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন তিনি। প্রুইট মনে করতেন, বিজ্ঞানীদের কথিত জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর মানুষের জীবন-যাপন ভূমিকা রাখার বিষয়টি অপলাপ।
এই পরিবেশবিরোধী রাজনীতিককে ইপিএতে নিয়োগও সংস্থাটিকে বিজ্ঞানীহারা করছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এইচএ/