শনিবার (২১ জানুয়ারী) রাতে চার বন্দুকধারী পাঁচ তারকা মানের হোটেলটিতে অতর্কিত হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর এ হতাহতের খবর আসে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বন্দুকধারীরা হোটেলে ঢুকেই নির্বিচারে গুলি ছুড়তে শুরু করে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানানন, হামলার খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া বিশেষ বাহিনীর গুলিতে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
তিনি জানান, হোটেল থেকে সাত জন আহত লোককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, হামলাকারীরা গুলি ছোড়ার পাশাপাশি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারে করে ওই হোটেলের ছাদে গিয়ে নামেন। এরপর তারা বন্দুকধারীদের নিঃশেষ করতে অভিযানে নামেন।
এদিকে তোলো নিউজের এক কর্মকর্তার টুইটে ‘১৫ জনের মৃত্যুর’ খবর দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, হামলার পর হোটেলটির পেছনের দরজা দিয়ে পাঁচ জন পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ভয়াবহ হামলায় প্রায় ১৫ জন নিহত ও বিপুলসংখ্যক লোক আহত হয়েছেন।
শনিবার হোটেলটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন থাকায় সেখানে দেশটির বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুল জনসমাগম ছিল। সে কারণে হামলায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, জনুয়ারি ২১, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/
** কাবুলের পাঁচ তারকা হোটেলে বন্দুকধারীদের হামলা