মিয়ানমার পুলিশের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এখবর জানিয়েছে শনিবার।
পুলিশের দাবি, অং সান সুচির বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলাকারী সন্দেহে তারা একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ইয়াঙ্গুনে সুচির হ্রদতীরবর্তী বাড়িতে কথিত পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারার ঘটনাটি যখন ঘটে, সুচি তখন সেখানে ছিলেন না। একটি ওয়াটার পাইপ পুড়ে যাওয়ার বাইরে হামলায় বাড়িটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইয়াঙ্গুন পুলিশের ফেসবুক পেজে দেয়া একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ঘটনার সময় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ছবি দেখেই তারা উইন নাইং (৪৮) নামের ওই লোককে শুক্রবার ভোরে আটক করে।
রিপোর্টে বলা হয়, ‘সে (উইন নাইং) স্বীকার করেছে, সে একটি পেট্রোল ভরা বোতল নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে (সুচির) বাড়ি লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে। ’
উইন নিয়াং একটি নির্মাণ কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করে। তার মাথায় গোলমাল রয়েছে। এ সত্ত্বেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
উইন নিয়াং পুলিশকে নাকি বলেছে, জাদুটোনার বশেই সে সুচির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারতে প্রলুব্ধ হয়েছে।
সুচি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।
এই ঘটনায় যেমন, তেমনি ঠিক এক বছর আগে নিজের শীর্ষ আইনজীবী বা শীর্ষ আইনি পরামর্শক কো নি-কে (Ko Ni) হত্যার পরও তিনি নীরব ছিলেন।
উল্লেখ্য কো নি ছিলেন একজন মুসলমান। যে স্বল্প সংখ্যক মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের দেশ মিয়ানমারে শীর্ষ সরকারি পদে আসীন হবার বিরল সুযোগ পেয়েছেন কো নি তাদেরই একজন। নাতিকে কোলে নিয়ে ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরের বাইরে স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করার সময় তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
তার এই হত্যাকাণ্ডের পরই পুরো মিয়ানমার জুড়ে মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পরপরই মিয়ানমারে, বিশেষ করে রাখাইন প্রদেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই চলমান অত্যাচার নিপীড়ন সীমা ছাড়িয়ে যেতে থাকে। ২০১৭ সালের শেষ দিকে এসে তা জাতিগত নিধনযজ্ঞে রূপ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
জেএম