মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদমাধ্যম জানায়।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশটিতে ১৫দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
প্রায় একই সময়ে ১৯৭৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমকে মালের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। মামুন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমের সৎভাই।
গ্রেফতার প্রসঙ্গে টুইট বার্তায় পুলিশ বলছে, মামুনের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তিনিসহ প্রধান বিচারপতি ও আরেকজন বিচারপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সার্কভুক্ত একমাত্র দ্বীপদেশটির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ‘মালদ্বীপ ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ বলছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিচারপতিদের গ্রেফতার করায় সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
তবে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম মুয়াজ আলী বলেন, সংবিধানের ২৫৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জরুরি অবস্থা জারি হলেও সাধারণ মানুষের চলাফেরা, চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
সম্প্রতি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ ও বিরোধী দলের ১২ সংসদ সদস্যকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়অ হয়।
পরে আপিলে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজাকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাই তাদের সাজা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এরপরই মূলত রাজনৈতিক সংকট শুরু হয় দেশটিতে। এরই ধারাবাহিকতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সংসদের কার্যক্রম স্থগিত করে দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম।
সরকারপন্থিদের আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমকে গ্রেফতার বা অভিশংসনের আদেশ দিতে পারে।
আর শঙ্কা থেকেই প্রধান বিচারপতিসহ আরেকজন বিচারপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
দেশটির অনেক সংসদ সদস্যকে (এমপি) আটক করা হয়েছে। নতুন করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছেন দুই এমপি।
এদিকে কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমএ/