মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুরু হওয়া এই সুবিশাল মহড়ায় প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র এবং অন্যতম পরাশক্তি চীনও অংশ নিয়েছে। এছাড়া ভারত এবং পাকিস্তানও যোগ দিয়েছে তাতে।
ভোস্টক-২০১৮ বা পূর্ব-২০১৮ নামের এ মহড়াটিতে তিন লাখের মতো রুশ সৈন্য অংশ নিয়েছে। সেইসঙ্গে এক হাজার বিমান ও ৩৬ হাজার ট্যাংক নেমেছে যৌথ এ সামরিক মহড়ার জন্য। এমন শক্তি প্রদর্শনের কারণ ব্যাখ্যা করে ক্রেমলিন বলছে, উত্তেজনাকর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি প্রায়শই রাশিয়ার প্রতি বৈরি ও আগ্রাসী হয়ে উঠে।
বেশ কতগুলো হেলিকপ্টার এবং পিপলস্ লিবারেশন আর্মি থেকে প্রায় তিন হাজার ২০০ সৈন্য নিয়ে এই মহড়ায় যোগ দিয়েছে রাশিয়ার পরপরই হাইপারসনিক যুগে প্রবেশ করা চীন।
মহড়া প্রসঙ্গে রূশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, ২০১৪ সালে পশ্চিমার সঙ্গে তাদের সংঘাতের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন করে আবার দাঁড়াতে চীনকে নিয়ে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রিমিয়াম তৈরি করেছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কোভ বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ক্ষমতা প্রদর্শন করা দরকার। এছাড়া আমাদের দিকে অনেকেই বারবার আক্রমণাত্মক এবং বিরাগপূর্ণ ভাব দেখাচ্ছে। এজন্য ন্যায়সঙ্গত এ মহড়ার কোনো বিকল্প নেই।
রূশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরগেই সোইগো বলেন, রাশিয়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অনুশীলন নিচ্ছে।
রূশ সামরিক কর্মকর্তা গাবিউব বলেন, মহড়াটির প্রস্তুতি একেবারেই সহজ ছিল না।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে সর্বপ্রথম রাশিয়া বিশ্বের সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনঝালের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল। পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, হাইপারসনিক ক্ষেপাণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় রাশিয়া অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ১৫ বছর এগিয়ে থাকবে। কেননা, কিনঝালটি ‘তোপোলেভ টিইউ-২২২এম৩ বোম্বার বহন করে অত্যাধিক দূরগতির সঙ্গে। যা বিশ্বের ইতিহাসে সর্বাধিক শক্তি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রও। এছাড়া এটির গতি শব্দের চেয়ে আট গুণ বেশি। সেইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রটি মুহূর্তেই গতি পাল্টিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে সক্ষম বলে উল্লেখ করেছিলেন পুতিন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
টিএ