বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঘানার রাজধানী আক্রায় রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় নোবেল শান্তি বিজয়ী এ কূটনীতিকের। শেষকৃত্যে জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তেনিং গুতরেসসহ বিশ্বনেতারা অংশ নেন।
আনানের স্ত্রী ন্যানে মারিয়া শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বলেন, আমার ভালবাসা, তুমি আবার ফিরে এলে তোমার আবাসে। যেখান থেকে তুমি তোমার দীর্ঘযাত্রা শুরু করেছিলে। কিন্তু তোমার প্রজ্ঞা ও পরদুঃখকাতরতা আমাদের পথ চলতে নির্দেশনা দেবে।
ঘানার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো আদদো এ কূটনীতিককে আখ্যায়িত করেন ‘আধুনিক সময়ের সত্যিকার অর্থের একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে।
জনপ্রিয় এ কূটনীতিকের ভাই কোবিনা বলেন, তিনি একজন নেতা কিংবা কূটনীতিকের থেকে অনেক বেশি কিছু ছিলেন। আমরা একজন ভাই, বাবা, স্বামী কিংবা চাচাকে হারিয়েছি। যার ছিল সততা, মহানুভবতা ও ন্যায়পরায়ণতার মূল্যবোধ। যেটা খুব গভীরভাবে গ্রোথিত ছিল।
জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতরেস তাকে ‘ব্যতিক্রমী বিশ্বনেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, আনান ছিলেন মহৎ, সাহসী এবং সততা, আত্মোৎসর্গকারী এক ব্যক্তি।
চলতি বছরের ১৮ আগস্ট বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগে সুইজারল্যান্ডে ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ নেতা।
১৯৯৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জাতিসংঘ মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বশান্তিতে অবদানের জন্য ২০০১ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন কফি আনান।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থার সর্বোচ্চ কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালনের পর কফি আনান জাতিসংঘ-আরব লিগের বিশেষ দূত হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে সংকট নিরসনে যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়েও ফল না আসায় হতাশ হন তিনি।
সবশেষ মিয়ানমারের রাখাইনে দমন-পীড়ন চালিয়ে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি করলে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ কমিশন গঠনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চালান কফি আনান। তার নামে গঠিত আনান কমিশনের সুপারিশমালা ব্যাপক প্রশংসিত হয় বাংলাদেশসহ বিশ্ব দরবারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এএইচ/আরআর