শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটা জানা যায়।
খবরে বলা হয়, পাহাড়সমৃদ্ধ দ্বীপটির শহর ওয়েকফিল্ডের বনবেষ্টিত এলাকায় ভয়াবহ দাবানলের আশঙ্কায় তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের আরও প্রায় ৩ হাজার অধিবাসীকে নিরাপদে চলে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় কেউ ঝুঁকিতে রয়েছে তা নিশ্চিত হতে আক্রান্ত ২৫০টি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়েছে পুলিশ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) শহরে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার পর্যন্ত এটি প্রায় ৫ হাজার একর এলাকা ছাড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, প্রথমে শহরের একটি খামার বাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
এদিকে অসংখ্য ক্ষুদ্র দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত নিউজিল্যান্ডের অপেক্ষাকৃত শুষ্ক অঞ্চলগুলোতে ছোট ছোট ‘অগ্নিকাণ্ডে’র (দাবানল) ঘটনা ঘটেছে। তাসমান সাগর পাড়ের সাউথ আইল্যান্ডের নেলসন শহরসহ আশপাশের অঞ্চলেরও একই অবস্থা। এসব অঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার লোকের বসবাস।
উদ্ধারকারী সংস্থা সিভিল ডিফেন্সের ম্যানেজার রিচার্ড কার্বি বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো গত চার-পাঁচদিন ধরে ঘটতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে এ ধরনের ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকদের সমস্যার কারণ হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় ওই অঞ্চলগুলোতে কোনো বৃষ্টিও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এসএ/এমএ