যদিও বৈঠকটি কবে কোথায় হতে যাচ্ছে সেটা আগেই জানা গিয়েছিল, তারপরও তা নিয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট আলোচনা করেছেন পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের এ বৈঠক নিয়ে আলোচনায় পিয়ংইয়ংয়ে তিনদিন অবস্থান করেছেন স্টিফেন বাইগুন।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, তিনি উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বৈঠকে বসবেন। এর জন্য তিনি দিন নির্দিষ্ট করেছেন ২৭ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি। যদিও হোয়াইট হাউস থেকে আরও আগেই বিষয়টি জানা গিয়েছিল।
শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প টুইটে বলেছেন, কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক এবং শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করছি।
এর আগে নানা টানাপোড়নেরর পর ২০১৮ সালের ১২ জুন সিঙ্গাপুরে এই দুই শীর্ষ নেতার প্রথম বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে উত্তর কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা নীতিসহ নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-অলোচনা ও চুক্তি হয়েছিল। যদিও এরপর দু’জনের মধ্যে আবারও চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়।
এরপর ২০১৯ সালের শুরুতে কিমের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এ নিয়ে শুরু হয় দু’দেশের আলোচনা। শেষ পর্যন্ত বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে এখন চলছে প্রস্তুতি।
এছাড়া তাদের দ্বিতীয়বারের এই সাক্ষাৎ দু’দেশের মধ্যকার সমস্যার সমাধানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে কতোটা সায় দেবে, এখনও তার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
টিএ