যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
ইরানে তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রতিশোধ নিতে উপসাগরের প্রধান তেল সরবরাহের পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তেহরান।
এর আগে ২০১৮ সালের আগস্টে ওয়াশিংটন বলেছিল, এই জলপথে মহড়া চলাকালে ইরান স্বল্প পরিসরের একটি জাহাজবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপের ফলে সতর্কতা হিসেবেই ইরান এই কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মহড়ার তৃতীয় দিন সোমবার ‘গাধির’ শ্রেণির সাবমেরিনের আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়।
সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে তারা আরও বলেছে, ‘তারেক’ এবং ‘ফাতেহ’ নামের সাবমেরিনগুলোরও একই ধরনের জাহাজবিরোধী সক্ষমতা রয়েছে।
হরমুজ থেকে ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরে বিস্তৃত বিশাল এই এলাকায় তিন দিনব্যাপী এ যুদ্ধ প্রশিক্ষণে প্রায় ১০০টি জাহাজ অংশ নেয়।
দেশটির বিপ্লবীবাহিনীর এক সিনিয়র কমান্ডার বলেন, আমাদের উৎক্ষেপণ করা এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে শত্রুপক্ষ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কেউ যাতে বিনষ্ট বা প্রতিরোধ করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইরান সতর্ক ছিল।
বিপ্লবীবাহিনীর প্রধান আমিরালি হাজেজাদি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটিকে বাতাসে বিস্ফোরিত করতে শত্রুপক্ষ এর কিছু অংশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। কিন্ত তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ আমরা সতর্ক ছিলাম।
অন্যদিকে, দুইবার কক্ষপথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার কথা গত সপ্তাহে নিশ্চিত করে ইরান।
২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে চুক্তি করে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার এই প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
তেহরান বলছে, এসব কর্মসূচি ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান প্রায়ই তার অস্ত্রশস্ত্রের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। তবে তাদের লং রেঞ্জ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে চিন্তা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসএ/টিএ