ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ বহুদিন ধরেই খাশোগির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আঁতাতের চেষ্টা চালাচ্ছে।
খাশোগির সন্তানদের দেওয়া বাড়িটি দেশের বন্দর নগরী জেদ্দায় অবস্থিত। এর মূল্য প্রায় চার মিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খাশোগির চার সন্তানের প্রত্যেকেই প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলার করে অর্থ সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি তারা প্রত্যেকেই এককালীন প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তাও পেতে পারেন।
সৌদি আরবেই বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খাশোগির বড় ছেলে সালাহ। তবে বাকিরা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তারা বাড়িটি বিক্রি করে দেবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হন সৌদি সাংবাদিক খাশোগি। ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমদিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও অবশেষে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন এ সাংবাদিক।
সবশেষ সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেল সৌদ আল মোজেব দেশটির রাজধানী রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে খাশোগির মরদেহ টুকরো টুকরো করার কথা স্বীকার করেছিলেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, খাশোগির শরীরে ড্রাগ ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর তাকে টুকরো টুকরো করা হয়। টুকরো করা দেহ কনস্যুলেটের বাইরে এক এজেন্টকে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যাকাণ্ডে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার কথা উঠলেও তা অস্বীকার করছে সৌদি আরব।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে ১১ জনকে অভিযুক্ত করেছে দেশটির পাবলিক প্রসিকউটর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এসএ/টিএ