রোববার (২৬ মে) ভোর তিনটার দিকে তাকে হত্যা করা হয়।
সুরেন্দ্র সিং স্মৃতি ইরানির ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলো।
পুলিশ জানায়, নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সুরেন্দ্র সিংকে গুলি করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। দ্রত লক্ষ্ণৌয়ের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি সেখানেই মারা যান।
আমেথি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ রাজেশ কুমার বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে হত্যার উদ্দেশ্য এখনো নিশ্চিত নয়। পুরনো শত্রুতা বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে সুরেন্দ্রকে হত্যা করা হতে পারে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন বারুলিয়া গ্রামের প্রধান ছিলেন সুরেন্দ্র সিং। নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে তিনি গ্রামপ্রধানের পদ ছেড়ে দেন।
ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির পক্ষে জোর প্রচারণা চালান সুরেন্দ্র সিং। বিভিন্ন সমাবেশে তার বক্তব্য জনগণকে বেশ প্রভাবিত করতো বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
সুরেন্দ্র সিংয়ের ছেলে সংবাদ সংস্থা এএনআই’কে বলেন, বাবা স্মৃতি ইরানির কাছের মানুষ ছিলেন। বিজেপির হয়ে তিনি দিনরাত প্রচারণা চালিয়েছেন। স্মৃতি ইরানি নির্বাচনে জেতার পর এখানে বিজয় মিছিলও বের করা হয়েছিল। মনে হয়, কংগ্রেস সমর্থকদের কাছে বিষয়টি ভালো লাগেনি।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে হারিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। গত তিন মাস ধরে আমেথিতে টানা প্রচারণা চালান এ বিজেপি নেত্রী। এছাড়া, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই সংসদীয় এলাকার আনাচেকানাচে চষে বেড়িয়েছেন তিনি, কথা বলেছেন নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে।
অপরদিকে, ২০০৪ সাল থেকে আমেথি দখলে রাখা কংগ্রেস সভাপতি নিজের নির্বাচনী এলাকায় খুব একটা আসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৮ সাল ছাড়া প্রায় তিন দশক এ আসনে কখনো হারেনি কংগ্রেস।
তবে সে ধারা ভেঙে গেছে এবার। বিজেপির নিরঙ্কুশ আধিপত্যের বিপরীতে মাত্র ৫২টি আসনে জিতেছে ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগেস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
একে